ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা মূল দলের ৯ ফুটবলার এবার করোনার কারণ দেখিয়ে চলতি সময়ের আন্তর্জাতিক বিরতিতে ব্রাজিলের হয়ে খেলতে যাননি। ব্রাজিলের ফুটবল ফেডারেশন (সিবিএফ) তাদের যথাসময়ে জাতীয় দলের খেলার জন্য আসতে বললেও তারা করোনার কারণ দেখিয়ে আসেননি। আর এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে সিবিএফ ফিফার কাছে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আপিল করে।
সিবিএফের আর্জিকে গুরুত্ব দিয়ে সেসব ফুটবলারকে পাঁচ দিনের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ফিফা। তবে একজনকে বাদ রেখে আটজনের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আন্তর্জাতিক ফুটবল নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানটি। সে হিসাবে আগামী ১০ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রিচার্লিসন ছাড়া বাকি আট খেলোয়াড় কোনো ম্যাচ খেলতে পারবেন না।
নিষিদ্ধ হওয়া আট খেলোয়াড় হলেন- রবার্তো ফিরমিনো, ফ্যাবিনিও, আলিসন বেকার, এডেরসন, গ্যাব্রিয়েল জেসুস, ফ্রেড, থিয়াগো সিলভা, রাফিনিয়া।
শাস্তি থেকে রেহাই পেয়েছেন ব্রাজিলের তরুণ ফরোয়ার্ড রিচার্লিসন। এভারটন ক্লাবে খেলা এই তরুণ তারকা কেন শাস্তির আওতায় পড়েননি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
জানা গেছে, রিচার্লিসনের প্রতি নমনীয়তা দেখিয়েছে ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ)। কারণ তার ক্লাব এভারটনের সঙ্গে সিবিএফের দারুণ সম্পর্ক রয়েছে। তারাই রিচার্লিসনের বিষয়ে সিবিএফের ক্ষোভকে প্রশমিত করেছে। তবে এছাড়া অন্য কারণও রয়েছে।
উল্লেখ্য, সাধারণত আন্তর্জাতিক বিরতিতে ফুটবলারদের ছাড়তে কোনো বাধা দেয় না ক্লাবগুলো। কিন্তু করোনায় জেরবার লাতিন আমেরিকার দেশগুলো এখনও ইউরোপের লাল তালিকাভূক্ত। যে কারণে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের খেলার বিষয়ে এসব দেশের খেলোয়াড়দের শর্ত জুড়ে দিয়েছিল ইংলিশ ক্লাবগুলো। কারণ দেশের খেলা শেষে ক্লাবের হয়ে ফের খেলতে হলে আগে ১০ দিনের আইসোলেশনে থাকতে হবে।